২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনামঃ
আজ ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস। আজ ৬ই ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ পাক-হানাদার মুক্ত দিবস,৪৮জন শহীদের গণকবরে জেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৩ বিজিবির অভিযানে মোটরসাইকেল ও মোবাইলসহ আটক ২ সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এড. নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বঞ্চিত দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনের বাসায় গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজেকশিস এর নবনির্বাচিত সভাপতি তরিকুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আকতার ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধের অন্তঃসত্ত্বা সোনালীকে বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করল বিজিবি কোটচাঁদপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি হরিণাকুণ্ডুতে ভোর হলো ঝিনাইদহের আয়োজনে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রী কলেজে নবান্ন উৎসব ২০২৫ উদযাপিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশ্বম্ভরপুরের ভাদেরটেক বাজারে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজয় মাসে যুবক ও তরুন প্রজন্মকে নিয়ে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা

যশোরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত দিনব্যাপী গণশুনানি অনুষ্ঠিত

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৫,

মোঃওবাইদুল হক স্টাফ রিপোর্টার যশোর।।

যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ শুনানির আয়োজন করে দুদক যশোর কার্যালয়। এতে সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, দুদক মহাপরিচালক আকতার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ

এবং যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান।গণশুনানি দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন, আর দ্বিতীয় পর্বে জেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সেবা গ্রহীতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।দুদক সূত্র জানায়, মোট ৩৭টি প্রতিষ্ঠান—যার মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ, যশোর জেনারেল হাসপাতাল, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর,

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, ওজোপাডিকো, ভূমি অফিস, ব্যাংক, পৌরসভা ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর—এর বিরুদ্ধে ৭৫টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়।শুনানিতে অভিযোগকারীরা ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ তুলে ধরেন, আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা সেগুলোর ব্যাখ্যা দেন।এক পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে ‘পাকা কলা খাওয়ার’ কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। অভিযোগকারী রুস্তম আলী জানান,

আলমগীর শুধু কলাই নয়, তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তার জমির ডিসিআর অন্যের নামে দেওয়া হয়।প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, “দুদক একা দুর্নীতি নির্মূল করতে পারবে না, তবে জনগণের অংশগ্রহ ন বাড়লে এর মাত্রা অনেকটা কমানো সম্ভব। আমরা দুই পক্ষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছি, এতে স্বচ্ছতা বাড়বে, দুর্নীতি কমবে।”গণশুনানিটি সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।

যশোরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত দিনব্যাপী গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ শুনানির আয়োজন করে দুদক যশোর কার্যালয়। এতে সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, দুদক মহাপরিচালক আকতার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ এবং যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান।

গণশুনানি দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন, আর দ্বিতীয় পর্বে জেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সেবা গ্রহীতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।

দুদক সূত্র জানায়, মোট ৩৭টি প্রতিষ্ঠান—যার মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ, যশোর জেনারেল হাসপাতাল, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, ওজোপাডিকো, ভূমি অফিস, ব্যাংক, পৌরসভা ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর—এর বিরুদ্ধে ৭৫টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়।

শুনানিতে অভিযোগকারীরা ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ তুলে ধরেন, আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা সেগুলোর ব্যাখ্যা দেন।

এক পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে ‘পাকা কলা খাওয়ার’ কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। অভিযোগকারী রুস্তম আলী জানান, আলমগীর শুধু কলাই নয়, তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তার জমির ডিসিআর অন্যের নামে দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, “দুদক একা দুর্নীতি নির্মূল করতে পারবে না, তবে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়লে এর মাত্রা অনেকটা কমানো সম্ভব। আমরা দুই পক্ষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছি, এতে স্বচ্ছতা বাড়বে, দুর্নীতি কমবে।”

গণশুনানিটি সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন