২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনামঃ
আজ ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস। আজ ৬ই ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ পাক-হানাদার মুক্ত দিবস,৪৮জন শহীদের গণকবরে জেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৩ বিজিবির অভিযানে মোটরসাইকেল ও মোবাইলসহ আটক ২ সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এড. নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বঞ্চিত দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনের বাসায় গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজেকশিস এর নবনির্বাচিত সভাপতি তরিকুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আকতার ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধের অন্তঃসত্ত্বা সোনালীকে বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করল বিজিবি কোটচাঁদপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি হরিণাকুণ্ডুতে ভোর হলো ঝিনাইদহের আয়োজনে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রী কলেজে নবান্ন উৎসব ২০২৫ উদযাপিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশ্বম্ভরপুরের ভাদেরটেক বাজারে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজয় মাসে যুবক ও তরুন প্রজন্মকে নিয়ে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা

দুমকিতে জনবল সংকটে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কার্যক্রম স্থবির

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫,

সাকিব হোসেন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ-

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে তীব্র জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা, টিকাদান, রোগ-নিয়ন্ত্রণ ও মাঠ পর্যায়ের সেবা কার্যক্রমে চরম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে একজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ওপর পুরো দপ্তরের দায়িত্ব চাপায় সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়ছেন খামারই ও পশু পালনকারীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গরু-ছাগলের রোগ দেখা দিলেও দ্রুত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না, এতে চাষাবাদ ও ক্ষুদ্র খামারের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ে যেখানে একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, দুইজন ভেটেরিনারি সার্জন, একজন ফার্মাসিস্ট, দুইজন মাঠ কর্মী ও সহায়ক জনবল থাকার কথা-সেখানে বর্তমানে দায়িত্ব পালনে আছেন মাত্র একজন ভেটেরিনারি সার্জন ও একজন সহকারী।

জরুরি রোগ-নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম, নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি, পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর পরিদর্শনসহ অধিকাংশ সেবা নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে শীত কালকেন্দ্রিক বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সময় মাঠ পর্যায়ে টিম না থাকায় খামিদের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।

মজিবর মৃধা নামের গরু খামারই জানান, গরুতে হঠাৎ জ্বর এলে ডাক্তার ডাকতে গেলে কাউকে পাওয়া যায় না। কখনো ফোন ধরেন, কখনো ধরেন না। এক উপজেলায় দুই-তিনজন ডাক্তার না থাকলে আমরা কিভাবে চলব। একই অভিযোগ তোলেন পোল্ট্রি খামারই বেল্লাল হোসেন। তার ভাষায়, মুরগিতে রোগ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া খুব জরুরি। কিন্তু চিকিৎসা না পেয়ে অনেক সময় ক্ষতি হয়ে যায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. আলাউদ্দিন জানান, জনবল সংকটের কারণে তারা বাধ্য হয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি কাজ সামলাচ্ছেন। তিনি বলেন, দপ্তরে জনবল না থাকায় মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত নজরদারই করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সীমিত জনবল নিয়ে আমরা সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, জেলার সব কয়টি উপজেলায় এমন সংকট রয়েছে। শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে শূন্য পদে জনবল নিয়োগের সার্কুলার হয়েছে। নিয়োগ সম্পন্ন হলেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেবা কাঠামো স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন