২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনামঃ
আজ ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস। আজ ৬ই ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ পাক-হানাদার মুক্ত দিবস,৪৮জন শহীদের গণকবরে জেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৩ বিজিবির অভিযানে মোটরসাইকেল ও মোবাইলসহ আটক ২ সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এড. নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বঞ্চিত দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনের বাসায় গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজেকশিস এর নবনির্বাচিত সভাপতি তরিকুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আকতার ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধের অন্তঃসত্ত্বা সোনালীকে বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করল বিজিবি কোটচাঁদপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি হরিণাকুণ্ডুতে ভোর হলো ঝিনাইদহের আয়োজনে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রী কলেজে নবান্ন উৎসব ২০২৫ উদযাপিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশ্বম্ভরপুরের ভাদেরটেক বাজারে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজয় মাসে যুবক ও তরুন প্রজন্মকে নিয়ে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা

কোটচাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোপঃ

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৫,

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী, দুর্নীতিবাজ প্রফেসর ড. শেখ মোঃ আমানুল্ল্যাহ’র অপসারণের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তার অপসারণের দাবীতে উত্তাল রয়েছে কলেজ ক্যাম্পাস। ১৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে অধ্যক্ষ কলেজ ক্যাম্পাস-এ আসার সাথে সাথেই সকল ছাত্র-ছাত্রী নানা রকম প্লেকার্ড হাতে নিয়ে ঐক্যবোধ্যভাবে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় কৌশলে ছাত্রদের গায়ের উপর মটর সাইকেল চাপা দিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরে জমিনে দেখা যায় অধ্যক্ষ আমানুল্ল্যাহ’র পদত্যাগের দাবীতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। হ্যান্ড মাইক ও হাতে প্লেকার্ড নিয়ে নানা অনিয়ম তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। বন্ধ হয়ে গেছে কলেজের সকল দপ্তরিক কার্যক্রম। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া এক জন ওই কলেজের ছাত্র হাবিবুর রহমান জানান অধ্যক্ষ আমানুল্ল্যাহ’ একজন নাস্তিক ও সমকামি লোক।

তার বিরুদ্ধে এমন বহু অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। ইত্যি মধ্যে তার লেখা বই, ফেজবুক পোষ্ট ও কলেজের ক্লাসে নানা কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি কলেজ ক্যাম্পাসেও সমকামিতায় জড়িত আছেন, এছাড়াও তিনি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে নবী বলে প্রচার করেছেন এবং বেগম খালেদা দিয়াকে পর্ণস্টার বলেছেন, ছাত্র শিবির নিয়েও তিনি নানা বিরুপ মন্তব্য করেছেন। এমন খারাপ মানুষকে আমরা আর অধ্যক্ষ হিসাবে দেখতে চাইনা। আলী হোসেন নামে অপর শিক্ষার্থী জানান অধ্যক্ষ আমানুল্ল্যাহ এক জন শাহাবাগি, ফ্যাস্টিট ও নাস্তিক লোক তাকে আর এ কলেজে থাকার সুযোগ নেই। তাকে পদত্যাগ করতেই হবে, তিনি লিখিতভাবে পদত্যাগ না করলে আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে বলে তিনি জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রায় ৭ মাস আগে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর কে.এম.এইচ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি যোগদান করেন, যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ উঠতে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে তিনি কলেজের ক্লাস রুম দখল করে সংসার পেতেছেন, অফিসের এসি খুলে নিজের রুমে লাগিছেন, কলেজের গাছ কর্তন, পুকুর দখল, ক্লাসে ছাত্রীদের সামনে কুরুচিপূর্ণ আলোচনা ও সমকামিতার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কথা বলা হয় অধ্যক্ষ শেখ মোঃ আমানুল্যাহ এর সাথে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি ওই কলেজের উন্নয়ন করতে গিয়ে একটি মহলের ষড়ষন্ত্রের স্বীকার হয়েছি। আপনারা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে দেখেন আদৌ আমার কোন দোষ আছে কিনা।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন