1. admin@theonlinenewsbangladesh.com : admin :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২০ অপরাহ্ন
সাইট উন্নয়নের কাজ চলছে

শ্যামনগরে চলছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা

এস এম মিজানুর রহমান শ্যামনগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪
  • ২২৭ Time View
অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা

সাতক্ষীরা শ্যামনগরে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বে- সরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেরই নেই স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। কিছু প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স থাকলেও নবায়ন হয় না। এতে একদিকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে, অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব । জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, জেলায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১২০টি।

 

এর মধ্যে শ্যামনগরে ২০ টির মত বে-সরকারী হাসপাতাল রয়েছে।এসব বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী যে কয় জন নিজস্ব চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা নার্সসহ জনবল থাকার কথা, তা নেই কোনোটিতেই। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎষকের ওপর নির্ভরশীল এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই।ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিস্থিতিও একই রকম।

 

৫০টির মত রয়েছে ডায়াগনষ্টিক সেন্টার অথচ তার অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই প্যাথলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। এরপরও বছরের পর বছর চলছে এসব প্রতিষ্ঠান।অভিযোগ রয়েছে, সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে বে-সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে কমিশন পাচ্ছে দালাল চক্র। ফলে উন্নত চিকিৎসা সেবার নামে মানুষ ঠকানোর ব্যবসায় পরিণত হয়েছে । এতে প্রতিনিয়ত অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন রোগীরা।অধিকাংশ ক্লিনিক বা বেসরকারী হাসপাতালের নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র।

 

২/১টির থাকলেও তা ২০১৯সালের পর আর নবায়ন হয়নি, তারপরও কোন প্রকার বাধা ছাড়াই চলছে প্রতিষ্ঠানগুলি।

 

শ্যামনগর স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্স থেকে দালালের মাধ্যমে রোগী ধরে এনে বিভিন্ন ভাবে ভুল বুঝিয়ে ও ভয় ভীতি দেখিয়ে অপারেশনে বাধ্য করছে। বে-সরকারী হাসপাতালে গর্ভবতীরা আসলে প্রথমে পাঠানো হচ্ছে প্যাথলজি সেন্টারে সেখানে একাধিক টেষ্ট দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এরপর প্যাথলজি সেন্টারে বলে দিচ্ছে বাচ্চার ওজন যাই থাকুক ২৫০০গ্রাম রিপোর্টে লিখে দিতে হবে।

 

বে-সরকারী হাসপাতালের মালিকদের নির্দেশ মত বাচ্চার ওজন ১৪০০বা ১৫০০গ্রাম থাকলেও ২৫০০গ্রাম করে দিচ্ছে, কারন কম পক্ষে ২৫০০গ্রাম না হলে অপারেশন করা যায় না, তাতে প্রসুতি ও বাচ্চার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এভাবে সিজার করার কারনে প্রায় মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে মা ও বাচ্চা ।কাগজপত্র না থাকার কথা স্বীকার করে এক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছি।’

 

শুধু আবেদন করেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সিভিলসার্জনের অনুমতি নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি।এ ব্যাপারে কথা হয় শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ জিয়াউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বেসরকারী হাসপাতাল গুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেব। এব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজিবুল আলম বলেন ,জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেলে অভিযান পরিচালনা করব।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 zahidit.Com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: BDiT