২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনামঃ
আজ ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস। আজ ৬ই ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ পাক-হানাদার মুক্ত দিবস,৪৮জন শহীদের গণকবরে জেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৩ বিজিবির অভিযানে মোটরসাইকেল ও মোবাইলসহ আটক ২ সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এড. নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বঞ্চিত দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনের বাসায় গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজেকশিস এর নবনির্বাচিত সভাপতি তরিকুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আকতার ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধের অন্তঃসত্ত্বা সোনালীকে বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করল বিজিবি কোটচাঁদপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি হরিণাকুণ্ডুতে ভোর হলো ঝিনাইদহের আয়োজনে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রী কলেজে নবান্ন উৎসব ২০২৫ উদযাপিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশ্বম্ভরপুরের ভাদেরটেক বাজারে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজয় মাসে যুবক ও তরুন প্রজন্মকে নিয়ে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা

মহেশপুর উপজেলার যোগীহুদা গ্রামে প্রথমবারের মত বেদানা চাষ করে সফলতা অর্জন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৫,

করেছেন শিক্ষিত যুবক আব্দুল্লাহ। মহেশপুরের প্রতিনিধি মোহাম্মদ মিলন কৃষির প্রতি আগ্রহী এই যুবকটি তাঁর রেখাপাড়ার জীবন শেষ করে করার পর চাকরির পরিবর্তে নিজস্ব উদ্যোগে বেদানা চাষের সিদ্ধান্ত নেন। তিন বছর আগে ৫১ টি তিনি প্রাথমিকভাবে কিছু বিছাকৃতী বেদানা গাছ লাগাতে শুরু করেন। আব্দুল্লাহ তাঁর গবেষণায় আবিষ্কার করেন যে, মহেশপুরের মাটি এবং জলবায়ু বেদানা চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। এর ফলে, তিনি স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপদেশ গ্রহণ করে এবং কীটনাশক এবং সার ব্যবহারে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেন। চাষ শুরু করার পর থেকে আব্দুল্লাহ তার গাছগুলোর যত্ন নিতে শুরু করেন। নিয়মিত জল দেওয়া, পুষ্টি উপাদান দেওয়া এবং রোগ প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ায় তাঁর বেদানা গাছগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিছু মাসের মধ্যে গাছগুলো ফল দিতে শুরু করে, এবং তিনি প্রথম ফসল হবার পর তোলে তাঁর আশেপাশের কৃষকদের জন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়ান। আব্দুল্লাহ বলেন, “বেদানা চাষ আমার জীবনের একটি পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আমি শুধু নিজের জন্যই নয়, আমার গ্রামের কৃষকদের জন্যও একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পেরেছি।” তিনি কৃষকদের বেদানা চাষের বিভিন্ন কৌশল শিখিয়ে তাদের অনুপ্রাণিত করতে থাকেন। বর্তমানে, আব্দুল্লাহর চাষ করা বেদানা বিক্রির জন্য বাজারে বিক্রি হতে শুরু করেছে, এবং এতে তিনি লাভও অর্জন করছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁর উৎপাদন দেখে মুগ্ধ এবং বিভিন্ন ধরনের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে বেদানা চাষের সুবিধাগুলি তুলে ধরছেন। এখন আব্দুল্লাহ যোগীহুদা গ্রামের তরুণ কৃষকদের মধ্যে একটি আইকন হয়ে উঠেছেন, এবং তাঁর উদ্যোগ অন্যদের জন্যও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে মহেশপুরে বেদানা চাষে আরও বিপুল সফলতা আসবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন