
নিরঞ্জন মিত্র (নিরু) (ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
কর্মচঞ্চল, হাস্যোজ্জ্বল ও জনবান্ধব ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান। তিনি সদর উপজেলা সাজিয়ে দিয়ে বিদায়ী নিলেন।
(১ ডিসেম্বর) সোমবার (ইউএনও) ইসরাত জাহান এর বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা সহ
বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
ইউএনও ইসরাত জাহান যোগদান করার পরপরই সদর উপজেলা পরিষদের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন।তার কাছে সব শ্রেণী পেশার মানুষ যে কোন কাজে যথা মূল্যায়নে গ্রহণযোগ্য। তার কাছে গিয়ে নিরুপায় হয়ে কেউ ফিরে আসেনি।সেবা পেতে কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয় নাই। তার মুখের হাস্য উজ্জ্বল হাসি, মেধা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে ইতোমধ্যে সদর উপজেলায় জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি।
মাত্র ১০ মাসের সংক্ষিপ্ত সময়ে সৎ, নিষ্ঠাবান ও মানবিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি বদলে দিয়েছেন পুরো উপজেলা প্রশাসনের চিত্র। তার এই কাজের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে সাধারণ মানুষের আস্থা, ভালোবাসা এবং অকুণ্ঠ প্রশংসা।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ইসরাত জাহান ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করার পর সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে সাজানোর কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি। শুরু করেন তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে দুর্নীতি বিরোধী ও জনকল্যাণমুখী অভিযান সহ বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করার বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা করছেন। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরে ফিরিয়ে আনেন শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা।
ফলে কমতে শুরুকরে জনভোগান্তি, বেড়ে যায় কার্যকর সেবা। তিনি, সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ও দুর্গম চরাঞ্চলে তার পদচারণা ছিল সমান তালে। সদর উপজেলায় ক্ষুধা ও দারিদ্রতা মুক্ত একটি সমৃদ্ধশালী পরিছন্ন সহ মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে এবং পারিবারিক নির্যাতনের মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়মিত পরিদর্শন চালিয়ে নিয়মানুবর্তিতা ফিরিয়ে এনেছেন। তার এই মহান উদ্যোগ ও মানবিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, নবাগত ইউএনও মহোদয় সদর উপজেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন জানান, তিনি অত্যন্ত একজন মানবিক অফিসার ছিলেন। মানুষের সাথে কথা বলার মাধ্যমে তার আন্তরিকতা প্রকাশ করেছেন। ইউএনওর মাত্র ১০ মাসের দায়িত্বকালে উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে, সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার এবং প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প সময়মতো সম্পন্ন করা। শতভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন, অভিযোগ নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষা খাতে অগ্রগতি, সরকারি জমিতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ, মানবিক সহায়তা প্রদান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি।