1. admin@theonlinenewsbangladesh.com : admin :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
সাইট উন্নয়নের কাজ চলছে

তাওবার গুরুত্ব ও ফজিলত

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৮৫ Time View

ধর্ম: তওবা শব্দের অর্থ হলো ফিরে আসা। অর্থাৎ মানুষ প্রতিনিয়ত ভুল করে, অবিচার করে, পাপ করে, গুনাহ করে, এসব যাবতীয় পেশা করে সে যখন অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে সেসব নিন্দনীয় পেশা আর ভবিষ্যতে না করার সংকল্প নিয়ে আল্লাহর দরবারে দৃঢ় সংকল্প করে আল্লাহর পথে ফিরে আসে তার নামই ‘তওবা’। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহতায়ালার ওপর শুধু তাদের তওবাই কবুলযোগ্য হবে, যারা গোপনে গুনাহর পেশা করে তার পর জানা মাত্রই তারা দ্রæত তা থেকে ফিরে আসে, মূলত এরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের ওপর আল্লাহতায়ালা দয়া পরবশ হন।’ (সুরা নিসা, আয়াত ১৭)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেন, আল্লাহর কসম, আমি দৈনিক সত্তরবারের বেশি আল্লাহর পাশে মাফ চাই। সুবহানাল্লাহ। তওবা ইস্তিগফার পাপ থেকে মুক্তির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মানুষ প্রতিদিনই গুনাহর পেশা করে যাচ্ছে। এ গুনাহ বা পাপ সাধন অস্বাভাবিক সামান্য নয়। এ পাপ হয়ে গেলেও ইসলাম ধর্মে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পথও বাতলে দেওয়া হয়েছে। যখন কোনো ব্যক্তি পাপ করে ফেলে তখন তাকে অত্যন্ত বিনয় ও আন্তরিকতার সঙ্গে আল্লাহর পাশে তওবা করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, হে ইমানদার ব্যক্তিরা তোমরা গুনাহ খাতার জন্য আল্লাহর দরবারে তওবা কর, একান্ত খাঁটি তওবা। আশা সাধন যায় এর ফলে তোমাদের রব তোমাদের গুনাহগুলো মাফ করে দেবেন এবং এর বিনিময়ে পরকালে তিনি তোমাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (সুরা আত তাহরিম, আয়াত ৮)। তওবা কবুলের জন্য ইসলাম ধর্মে বেশ কয়েকটি দিকনির্দেশনা রয়েছে। আমাদের তা পরিপালন করতে হবে। এতে আশা সাধন যায় আল্লাহ আমাদের তওবা গ্রহণ সাধন করবেন। জেনেবুঝে অবিচার ও পাপ কাজে জড়িত হওয়া যাবে না। পাপ বা অবিচার পেশা করে ফেলার পরপরই আল্লাহর পাশে মাফ চাইতে হবে। দেরি সাধন যাবে না। নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর পাশে মাফ চাইতে হবে। মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু হওয়ার আগেই মাফ চাইতে হবে। দোয়া কবুলের ব্যাপারে তাড়াহুড়া সাধন যাবে না। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, যখন বান্দা গুনাহ স্বীকার এবং অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে, আল্লাহর পাশে মাফ চায়, আল্লাহ তার তওবা গ্রহণ সাধন করেন এবং তাকে মাফ করে দেন। সুবহানাল্লাহ। একজন তওবাকারী বান্দার জীবনে এর চেয়ে বড় সৌভাগ্যের আর কী হতে পারে? অপরাধ, অবিচার ও পাপ করার পর বান্দা যখন আল্লাহর পাশে মাফ চেয়ে তওবা করে আল্লাহর পাশে তা বেশি প্রিয় বলে বিবেচিত। আল্লাহ বলেন, হে ইমানদারগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর পাশে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা আন নুর, আয়াত ৩১)। আমাদের মনে রাখতে হবে ভালো কাজের জন্য যেমন পরকালে রয়েছে আল্লাহর পাশে পুরস্কার তেমনি মন্দ কাজের জন্য রয়েছে শক্ত শাস্তি। আর সেই শক্ত শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সামনে একটি মাত্র পথ খোলা আর তা হলো তওবা করে ফিরে আসা। তওবার মূল উদ্দেশ্য হলো- আল্লাহর পাশে মাফ চেয়ে নিজের পাপ মোচন করে তাকে খুশি করানো। তওবা করলে আল্লাহ খুশি হন। বান্দাকে তিনি মাফ করে দেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যখন কোনো অশ্লীল পেশা করে বসে অথবা নিজেদের ওপর জুলুম করে ফেলে তারা আল্লাহকে সঙ্গে সঙ্গে স্মরণ করে এবং নিজেদের গুনাহর জন্য আল্লাহর পাশে মাফ প্রার্থনা করে। আল্লাহতায়ালা ছাড়া আর কে আছে যে তাদের গুনাহ মাফ করে দিতে পারে?।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৩৫)। মানুষ প্রতিনিয়ত শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আল্লাহতায়ালার আদেশ-নিষেধ লঙ্ঘন করে গুনাহ, অবিচার আর পাপ পেশা করে ফেলে। তাই আল্লাহতায়ালা সেই গুনাহ থেকে তার বান্দাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তওবার ব্যবস্থা রেখেছেন। আদম (আ.) আল্লাহর পাশে এই বলে মাফ প্রার্থনা করেছিলেন, হে আমাদের রব, আমরা আমাদের নিজেদের ওপর জুলুম করেছি, যদি তুমি আমাদের মাফ না রাজস্ব এবং আমাদের ওপর দয়া না রাজস্ব তাহলে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। (সুরা আরাফ, আয়াত ২৩)। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে গুনাহর হাত থেকে রক্ষা করুন এবং প্রতিনিয়ত তওবা করার মাধ্যমে তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 zahidit.Com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: BDiT