1. admin@theonlinenewsbangladesh.com : admin :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
সাইট উন্নয়নের কাজ চলছে

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৩৯ Time View

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেছেন, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা সংকট আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এরই মধ্যে রাখাইন রাজ্যে পুনরায় শুরু হওয়া সশস্ত্র সংঘাত উক্ত এলাকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের নতুন করে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। রাখাইন রাজ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আয়োজিত এক উন্মুক্ত বৈঠকে তিনি একথা বলেন। শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন জাতিসংঘের রাজনৈতিক এবং শান্তি বিনির্মাণ বিষয়ক সহকারী মহাসচিব জনাব খালিদ খিয়ারি এবং মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিসের পরিচালক লিসা ডাউটন। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ছাড়াও সভায় মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্যে বলেন, রাখাইনে সা¤প্রতিককালে উত্তেজনা বাড়ার কারণে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আবার এ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি প্রত্যাবাসন ইস্যুতে প্রকৃত রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন এবং ২০১৭ ও ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাবর্তন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহŸান জানান। এছাড়া রাখাইনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তনকারীদের রাখাইনে সফলভাবে পুনর্বাসনে সহায়তা করার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়, বিশেষ করে আঞ্চলিক সংস্থাসমূহ এবং আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে অর্থপূর্ণ এবং কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ২৬৬৯ এর কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, রাখাইনে একটি অনুক‚ল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করা জরুরি যা মূলত মিয়ানমারের বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্নিহিত। রাষ্ট্রদূত মুহিত আরও বলেন, এই অন্তর্নিহিত সমস্যাসমূহের সমাধান করা না গেলে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাসমূহের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রাষ্ট্রদূত মুহিত মিয়ানমারে জাতিসংঘের উপস্থিতি জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা এবং নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ২৬৬৯ বাস্তবায়নের বিষয়ে নিয়মিত রিপোর্টিং, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং রাখাইনে সংকট সমাধানে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত চুক্তি ও সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে জোর দেন। উপরন্তু, তিনি মিয়ানমারের অন্য সব জাতিগোষ্ঠীর মতো রোহিঙ্গারাও যেন সমাজে সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সে লক্ষ্যে উপযুক্ত এবং টেকসই পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের যথাযথ ভ‚মিকার ওপর জোর দেন। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ যে নেতিবাচক সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত রাখাইন পরিস্থিতির প্রতি নিয়মিত দৃষ্টি রাখা এবং রোহিঙ্গা সংকটের একটি পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই সমাধানে দ্রæত ও অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহŸান জানান। সভায় বক্তব্য দেওয়া অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা মিয়ানমারে স¤প্রতি সংঘাত ও সহিংসতা বাড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে রাখাইন সংঘাতের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং সব বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের অনুক‚ল পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহŸান জানান। বক্তারা নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ২৬৬৯ অনুযায়ী মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘ ও আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানান। ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিক নেতৃত্বের নিদর্শন রেখে যাচ্ছে, বক্তারা তার ভ‚য়সী প্রশংসা করেন এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা নিরাপদে নিজ ঘরে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দিতে সবাইকে আহŸান জানান।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2017 zahidit.Com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: BDiT