২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনামঃ
আজ ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস। আজ ৬ই ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ পাক-হানাদার মুক্ত দিবস,৪৮জন শহীদের গণকবরে জেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৩ বিজিবির অভিযানে মোটরসাইকেল ও মোবাইলসহ আটক ২ সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এড. নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বঞ্চিত দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনের বাসায় গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জে নজেকশিস এর নবনির্বাচিত সভাপতি তরিকুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আকতার ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধের অন্তঃসত্ত্বা সোনালীকে বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করল বিজিবি কোটচাঁদপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি হরিণাকুণ্ডুতে ভোর হলো ঝিনাইদহের আয়োজনে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রী কলেজে নবান্ন উৎসব ২০২৫ উদযাপিত। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশ্বম্ভরপুরের ভাদেরটেক বাজারে আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজয় মাসে যুবক ও তরুন প্রজন্মকে নিয়ে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা

এবারের নির্বাচন দেশ রক্ষার নির্বাচন”প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৫,

মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ – আগামী নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে সততা, নিরপেক্ষতা এবং দায়িত্বপরায়ণতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আজ (সোমবার) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সদ্য পদায়নকৃত ৫০ জেলা প্রশাসকসহ দেশের ৬৪ জেলার প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, এবারের নির্বাচন “গতানুগতিক কোনো নির্বাচন নয়; এটি দেশ রক্ষার নির্বাচন।”
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আগামী নির্বাচন শুধু পাঁচ বছরের সরকার গঠনের নির্বাচন নয়, বরং গণভোট যুক্ত হওয়ায় এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ। এটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নির্বাচন। জাতি বহু প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে, সেই স্মৃতি ছাপিয়ে যেতে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এটা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন; এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণতা দেওয়া হবে। এই নির্বাচন দ্বারা জাতির জন্য শতাব্দীর গতিপথ নির্ধারিত হবে।”প্রধান উপদেষ্টা জেলা প্রশাসকদের ভূমিকার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, “কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে এবং জেলা প্রশাসকরা থাকবেন ধাত্রীর ভূমিকায়।”

তিনি জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, “আপনাদের যা যা জানা প্রয়োজন সব জানতে হবে। নির্বাচনকে একদিকে উৎসবমুখর এবং অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ করতে হবে।”প্রধান উপদেষ্টা মনে করিয়ে দেন, বিপুল সংখ্যক তরুণ এবং নারী ভোটার রয়েছেন, যারা ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হলেও গত ১৫ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এ কারণে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনের প্রতি গভীর উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তারা দেখতে চাইছেন, নির্বাচন কতটা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে।”প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, “এই নির্বাচনকে সফল করা গণঅভ্যুত্থানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। এটি একটি বিরাট অভিযান, এবং এ অভিযানে আমাদের জিততেই হবে। স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।”সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা প্রফেসর আসিফ নজরুল।

মাঠ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা যেমন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, এবং বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন